শাকসবজি ও ফলে ইঁদুরের ক্ষতির ধরন
ও আধুনিক দমন ব্যবস্থাপনা
ড. মোঃ শাহ আলম
শাকসবজি ও ফলে প্রধানত দুই জাতের ইঁদুর বেশি ক্ষতি করে থাকে যাহা মাঠের কালো ইঁদুর ও গেছো ইঁদুর/ ঘরের ইঁদুর। মাঠের কালো ইঁদুর মাঠ ও গুদামে উভয় স্থানেই গর্ত করে, ফসল কেটে, খেয়ে, গর্তে নিয়ে যায়। গুদামে খেয়ে, পায়খানা প্রশ্রাব ও পশম, মাটি ও শস্যের সাথে মিশিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করে থাকে। গেছো ইঁদুর মাটিতে গর্ত না করে ঘরের মাচায় বা গুপ্ত স্থানে গাছে বাসা তৈরি করে বংশবৃদ্ধি করে।
সবজিতে ইঁদুরের ক্ষতির ধরন
মিষ্টিকুমড়া, করলা, তরমুজ, বাঙ্গি, লাউ, শসা ইত্যাদি কুমড়াজাতীয় সবজি ক্ষেতে ইঁদুর প্রথমে এলোমেলো ভাবে গর্ত করে মাটি উঠিয়ে ডিবি করে। গাছের লতাপাতা কেটে দেয় ও গর্তে নিয়ে জমা করে। পরবর্তী পর্যায়ে যখন গাছে ফল ধরলে ইঁদুর ফল খেয়ে ক্ষত সৃষ্টি করে ও ফল পচে নষ্ট হয়ে যায়।
এভাবে ইঁদুর সবজি ক্ষেতে ক্ষতি করে থাকে। মাঠের কালো ইঁদুর সবজি ক্ষেতে প্রধানত বেশি ক্ষতি করে থাকে। মিষ্টি মরিচের ও ভাসমান বেডে সবজির অনেক ক্ষতি করে থাকে। গেছো ইঁদুর পেপের চারা গাছেরও ব্যাপক ক্ষতি করে থাকে।
গোলআলুর ক্ষেতে গাছের অঙ্গজ বৃদ্ধির সময় ইঁদুর প্রথমে মাঠে ২/১টি গর্ত করে মাটি উপরে উঠিয়ে ক্ষতি করে থাকে। ইঁদুর আলুর মাটির উপরের কা- ও ডগা কেটে দেয়। আলু ধরার সময় ইঁদুর গাছের শিকড় কেটে দেয়। তার পর আলু যখন বড় হয় তখন ইঁদুর মাটির নিচের আলু গর্ত করে খেয়ে ও ক্ষতি করে থাকে। সাধারণত ইঁদুর আলুর শতকরা ৫-৭ ভাগ ক্ষতি করে থাকে। মিষ্টিআলুর ক্ষেতে ইঁদুরের আক্রমণ আলু থেকে বেশি দেখা যায়। মিষ্টিআলুর ক্ষেত লতায় ঢেকে যায় ফলে ইঁদুর প্রচুর সংখ্যক গর্ত করে ডগা ও লতা কেটে গর্তে নিয়ে যায়। ক্ষেতে গর্ত করে মাটির ঢিবি তৈরি করে। অর্ধ পরিপক্ব মিষ্টিআলু কামড়িয়ে খেয়ে ক্ষত সৃষ্টি করে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি করে থাকে। ফলে মিষ্টিআলুর ফলন কমে যায়। এভাবে ইঁদুর মাঠ ও গুদামে আলু ও মিষ্টিআলুতে ক্ষতি করে থাকে।
ইঁদুর দ্বারা ফল গাছে ক্ষতির ধরন
নারিকেল, কমলালেবু, জম্বুরা, আনারস, পেপে ইত্যাদি ফলে ইঁদুর অনেক ক্ষতি করে। বিভিন্ন ফলের চারা গাছ এবং পরিপক্ব ফলে অর্থনৈতিকভাবে অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। পেঁপে ও নারিকেলের চারা ইঁদুর দ্বারা অনেকটা ক্ষতি সাধন হয়। চারা অবস্থায় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০-৫০% পর্যন্ত হয়ে থাকে। কমলালেবু, জাম্বুরা, মাল্টা ফলের শাস খেয়ে ফেলে যার ফলে খাবারের অনুপযোগী ও বাজারমূল্য কমে যায়।
নারিকেলের ক্ষতির নমুনা : সাধারণত গেছো ইঁদুর নারিকেলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে। একটি জরিপে দেখা গিয়েছে যে পরিপক্ব নারিকেলের চেয়ে কচি ডাবে ক্ষতির পরিমাণ বেশি। ফলে ডাব ছিদ্র যুক্ত হয়ে যায় এবং গাছ থেকে মাটিতে ঝরে পড়ে। ফলে নারিকেল পরিপক্ব হতে পারে না এবং ফলন অনেক কমে যায়। বাংলাদেশে দক্ষিণ অঞ্চলে বরিশাল, খুলনায়, নারিকেলের বেশি ক্ষতি পরিলক্ষিত হয়। সাধারণত জরিপে দেখা গেছে গড়ে বছরে গাছ প্রতি ১৫-২০টি নারিকেল ইঁদুর দ্বারা ক্ষতি বা নষ্ট হয় যার আনুমানিক মূল্য ১৫০০-২০০০ টাকা।
আনারসে ক্ষতির নমুনা : দুই ধরনের ইঁদুর আনারসের ক্ষতি করে থাকে। সাধারণত আনারসের নিচের দিকে যেখান থেকে পাকা আরম্ভ করে সেখান থেকে ২-৩ ব্যসার্ধের বাঁকানো গর্ত করে আনারসের ক্ষতি করে থাকে। ফল বাজারে এর দাম কমে যায় এবং এই আক্রমণের ফলে আনারসের ছত্রাক রোগ হয়ে পচে নষ্ট হয়। এভাবে আনারসে প্রায় শতকরা ৬ -৯ ভাগ ক্ষতি করে থাকে।
সমন্বিত ইঁদুর দমন ব্যবস্থাপনা
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনুধাবন করা প্রযোজন যে, ইঁদুর দমন একটি পরিবেশগত কৌশল যে ইঁদুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা, কিন্তু কোন প্রজাতিকে ধ্বংস করা নয়। ইঁদুর দমনের সবচেয়ে ভাল উপায় হল, ইঁদুরের মৌলিক চাহিদা যেমন খাদ্য ও বাসস্থান সম্পর্কে জানা এবং এই সব উপাদান সীমিত করা, যা ইঁদুরের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ইঁদুর দমন পদ্ধতিসমূহকে আমরা সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করতে পারি। (ক) পরিবেশসম্মতভাবে ইঁদুর দমন বা ভৌত ও যান্ত্রিক পদ্ধতি পদ্ধতি (খ) বালাইনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে ইঁদুর দমন বা রাসায়নিক পদ্ধতিতে ইঁদুুর দমন ।
ক) পরিবেশসম্মতভাবে দমন : কোন রকম বালাইনাশক ব্যবহার না করে অর্থাৎ পরিবেশের কোন ক্ষতি না করে ইঁদুর দমনই হলো পরিবেশ সম্মতভাবে ইঁদুর দমন বা ভৌত ও যান্ত্রিক পদ্ধতি পদ্ধতি। বিভিন্ন ভাবে এটা করা যায়। যেমন-
পরিদর্শন ও সজাগ দৃষ্টির মাধ্যমে : ইঁদুর দমনের সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে এ সমস্যা সম্মন্ধে সর্বদা সজাগ থাকা যার অর্থ হচ্ছে ঘর বাড়িতে বা ক্ষেত খামারে ইঁদুরের উপস্থিতি, গতিবিধি এবং আক্রমণের তীব্রতার উপর সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখা এবং নিয়মিত পরিদর্শন করা। ইঁদুরের উপস্থিতির কোন চিহ্ন দেখা মাত্র তাকে খুঁজে বের করে যে কোন উপায়ে মেরে ফেলার ব্যবস্থা করা উচিত। এ পরিদর্শন কোন এলাকার ইঁদুর দমন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রতিবন্ধকতা : ধাতব পাত দ্বারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমে করা যায়। ফল গাছ যেমন : নারিকেল গাছ সহ অন্যান্য গাছে ইঁদুর দমনের ক্ষেত্রে ধাতব পাত দ্বারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমে ফল গাছে সাফল্যজনকভাবে ইঁদুর দমন করা যায়। এ ক্ষেত্রে টিনের পাত লাগানোর পূর্বে গাছকে ইঁদুর মুক্ত করতে হবে। বিশেষ করে গাছ থেকে গাছের দূরত্ব কমপক্ষে ৫ ফুট বা ২ মিটার ব্যবধান হতে হবে। যাতে ইঁদুর অন্য গাছ থেকে ডাল বেয়ে টিন লাগানোর গাছে না আসতে পারে। নারিকেল, সুপারি গাছসহ ফল উৎপাদনকারী গাছের গোড়া হতে ২ মিটার উপরে গাছের খাঁড়া কা-ের চারিদিকে টিনের পাত শক্তভাবে আটকিয়ে দিতে হয়। ফলে ইঁদুর গাছের গোড়া (নিচ) থেকে উপরে উঠতে যেয়ে টিনের পাত কিছুটা মসৃন হওয়ার বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফসকে পড়ে যায় ফলে উপরে উঠতে পারে না। এই পদ্ধতি অরাসায়নিক হওয়ায় পরিবেশ দূষণমুক্ত, অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী ও লাভজনক। সাধারণত এ পদ্ধতি ব্যবহারে ১টি নারিকেল গাছে ১৫০-২৫০ টাকা খরচ হয়। একবার টিনের পাত লাগালে ৪-৫ বৎসর পর্যন্ত কার্যকর থাকে।
জৈব নিয়ন্ত্রণ বা পরভোজী প্রাণীর মাধ্যমে ইঁদুর দমন : জীবিত কোনো প্রাণীকে অন্য কোনো জীবিত প্রাণী দ্বারা নিয়ন্ত্রণকেই জৈব নিয়ন্ত্রণ বলে। অন্যান্য প্রাণীর মতো ইঁদুর জাতীয় প্রাণীরও পরভোজী প্রাণী আছে, তন্মধ্যে বিড়াল, বনবিড়াল, কুকুর, খেকশিয়াল, পাতিশিয়াল, বাজপাখী, চিল, পেচা, বেজি, সাপ, গুইসাপ ইত্যাদি প্রাণী ইঁদুর খায়। যদি এ সমস্ত উপকারী পরভোজী প্রাণী মেরে ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
নিবিড়ভাবে ফাঁদ পাতার মাধ্যমে ইঁদুর দমন : নিবিড়ভাবে বিভিন্ন রকমের জীবন্ত ও মরন ফাঁদ ব্যবহার করে ইঁদুর দমন করা যায়। ফাঁদে ইঁদুরকে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাদ্য টোপ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। সহজে স্থানীয়ভাবে পাওয়া যায় এমন খাদ্যই টোপ হিসাবে ব্যবহার করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ শুঁটকি মাছ, বিস্কুট, আলু, পাউরুটি ইত্যাদি।
ফাঁদ স্থাপনের কৌশল : সাধারণত যেখানে ইঁদুর দেখা যায় এবং যেখান দিয়ে ইঁদুর চলাফেরা করে যেমন দেয়ালের পার্শ্ব, চালের উপর, গাছের ওপর বা গর্তের কাছাকাছি সেখানে ফাঁদ স্থাপন করা উচিত।
সতেজ গর্তে কাঁচা গোবরের মিশ্রণ দিয়ে ইঁদুর দমন : সতেজ গর্তে গোবরের মিশ্রণ (২০-৩০%) দিয়েও ইঁদুর দমন করা যায়।
(খ) রাসায়নিক দমন বা ইঁদুর নাশক দিয়ে দমন
রাসায়নিক পদ্ধতিতে ইঁদুর দমন (ঈযবসরপধষ ঈড়হঃৎড়ষ গবঃযড়ফ) পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই বহু যুগ ধরে রাসায়নিক পদ্ধতিতে ইঁদুর দমন চলে আসছে। ইঁদুরনাশক বিষ ক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে রাসায়নিক পদ্ধতিকে মূলত দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে, (ক) তীব্র বা তাৎক্ষণিক বিষ (খ) বহুমাত্রা বা দীর্ঘমেয়াদি বিষ ।
ক. তীব্র বা তাৎক্ষণিক বিষ : যে সমস্ত বিষ খেলে ইঁদুরের মৃত্যু ঘটায় তাদেরকে তীব্র বিষ বলা হয়। যেমন- জিংক ফসফাইড, বেরিয়াম কার্বনেট, আরসেনিক ট্রাইঅক্সাইড, ব্রোমেথিলিন ইত্যাদি। একমাত্র ‘জিংক ফসফাইড’ সরকার অনুমোদিত একমাত্রা বা তাৎক্ষণিক বা তীব্র বিষ। বিষটোপ তৈরিও খুব সহজ। তাই অতি সহজে কৃষক ভাইরা জিংক ফসফাইড বিষটোপ ব্যবহার করে ইঁদুর দমন করতে পারে। এই বিষ থেকে তৈরি বিষটোপ খেয়ে ইঁদুর সাথে সাথেই মারা যায়। কিন্তু এই বিষটোপের প্রধান অসুবিধা হলো বিষটোপ লাজুকতা। বিষটোপ ব্যবহারের পূর্বে ২-৩ দিন বিষহীন টোপ ব্যবহার করে ইঁদুরকে টোপ খেতে অভ্যস্ত করে নিলে ইঁদুর দমনে সফলতার হার অনেক বেড়ে যায়। তবে কোনো ক্রমেই পর পর দু-তিন রাত বিষটোপ ব্যবহারের পর ঐ স্থানে এক মাস আর এ বিষ ব্যবহার না করাই ভাল।
(খ) দীর্ঘমেয়াদি বিষ : যে সমস্ত বিষ খেলে ইঁদুর তাৎক্ষণিকভাবে বিষক্রিয়ায় মারা না গেলেও ধীরে ধীরে অসুস্থ বা দুর্বল হয়ে ২-১৪ দিনের মধ্যে মারা যায় তাদেরকে দীর্ঘমেয়াদি বিষ বলা হয়। ইঁদুর এ ধরনের বিষ খেয়ে আস্তে আস্তে অসুস্থ হয়ে গর্তের ভেতর মারা যায়, সেজন্য মৃত ইঁদুর সচরাচর চোখে পড়ে না। এ ধরনের বিষ খেলে সহসা কোনো আক্রান্ত লক্ষণ ধরা পড়ে না বিধায় পরিবারের অন্য ইঁদুররাও এ ধরনের বিষটোপ খেতে কোনো কুণ্ঠা/দ্বিধাগ্রস্ত হয় না। ফলে একসাথে অনেক ইঁদুর মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ধরনের বিষটোপে বিষটোপ লাজুকতা দেখা যায় না। পরীক্ষামূলকভাবে মাঠে এ জাতীয় বিষ দ্বারা শতকরা নব্বই ভাগ ইঁদুর মারা সম্ভব। এদেশে ল্যানির্যাট, রোমা, ব্রোমাপয়েন্ট নামে বিভিন্ন কীটনশকের দোকানে পাওয়া যায়।
বিষটোপ প্রয়োগ পদ্ধতি : মাঠে যেখানে ইঁদুরের উপস্থিতি বুঝা যায় সেখানে বা ইঁদুর চলাচলের রাস্তায় বা সতেজ গর্তের আশেপাশে জিংক ফসফাইড বিষটোপ কোন পাত্রে রেখে দিতে হবে। তাই জমির উপরে বিষটোপ না দিয়ে ৩-৪ গ্রাম বিষটোপ একটি কাগজ দিয়ে পুঁটলি বেঁধে সতেজ গর্তের মুখ পরিষ্কার করে গর্তের ভেতর ঢুকিয়ে দিতে হবে। তবে সব সময় লক্ষ রাখতে হবে কাগজটি যেন কখনো মাটির নিচে চাপা না পড়ে। এরপর গর্তের মুখ হালকাভাবে মাটি দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে । জমির উপর ও গাছে বিষটোপ ব্যবহারের সময় বেইট স্টেশনের ভেতর প্রয়োগ করলে সফলতা অনেক বেশি হয়।
গ্যাসবড়ি দিয়ে ইঁদুর দমন : বিষটোপ ছাড়া এক প্রকার গ্যাসবড়ি দিয়েও ইঁদুর দমন করা যায়। যেমন-এ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেট বাজারে ফসটক্সিন, কুইকফিউম, কুইকফস, এলুমফস, এগ্রিফস, গ্যাসটক্সিন নামে পরিচিত। ইঁদুর আছে এমন গর্তের মুখের মাটি সরিয়ে প্রতিটি সতেজ গর্তের ভেতর একটি করে বড়ি ঢুকিয়ে দিয়ে গর্তের মুখ ভালভাবে বন্ধ করে দিতে হবে।
বেশির ভাগ ইঁদুর গর্তে বাস করে বলে সম্পূর্ণভাবে দমন বা নির্মূল করা সম্ভব হয় না। তাই এদের সংখ্যা কমিয়ে মূল্যবান ফসল রক্ষা করে খাদ্যাভাব দূর করার চেষ্টা করতে হবে। কোন নির্দিষ্ট একক পদ্ধতি ইঁদুর দমনের জন্য যথেষ্ট নয়। ইঁদুর দমনের সফলতা নির্ভর করে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং বিভিন্ন সময়োপযোগী পদ্ধতি ব্যবহারের উপর। অতএব, সম্মিলিত এবং সময়োপযোগী দমন পদ্ধতি প্রয়োগ করলেই ইঁদুরের উপদ্রব কমানো সম্ভব।
লেখক : প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, অনিষ্টকারী মেরুদ-ী প্রাণী বিভাগ, বিএআরআই, গাজীপুর, মোবাইল : ০১৯১১৮৫৭৫৮৬, ই-মেইল :alamvpd@gmail.com